Download our app Go Here Download Now!

⛵ বিনা প্রয়োজনে, দর্শনীয় কোন স্থান দেখার জন্য ভ্রমণ কি ইসলামে অনুমোদিত?

 ⛵ বিনা প্রয়োজনে, দর্শনীয় কোন স্থান দেখার জন্য ভ্রমণ কি ইসলামে অনুমোদিত?


আমোদ-প্রমোদ, বিনোদন ও অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে নোংরা ও অশ্লীল-পরিবেশে ভ্রমণ করা জায়েয নেই। কেননা, মুমিন গুনাহর পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে রাখার ব্যাপারে আদিষ্ট। 

📍 ইসলামী স্কলারগন বলেনঃ 

ভ্রমণ যদি হয় মহৎ কোনো উদ্দেশ্য তাহলে ইসলামে ভ্রমণের অনুমতি আছে; বরং ক্ষেত্র বিশেষ ভ্রমণ একপ্রকার ইবাদতও বটে। 

যেমন,

১. হজ ও ওমরাহর উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। হজের ভ্রমণ হয় হজের মাসগুলোতে আর ওমরাহর ভ্রমণ হতে পারে সারা বছর।

২. ইসলামের দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। এ উদ্দেশ্যে ভ্রমণ নবী-রাসুলগণ, সাহাবায়ে কেরাম কিংবা নেককারগণ করেছেন।

 যাদের ভ্রমণ-কাহিনি আজও ইসলামের ইতিহাসের শোভা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে এবং মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে। বরং বলা যায়, এই জাতীয় নেক-ভ্রমণের উসিলাতেই ইসলাম আজ সারা দুনিয়ায় বিস্তৃত।

৩. জিহাদের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। যেমন, এ মর্মে হাদিস শরিফে এসেছে

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন-----

নিশ্চয় আমার উম্মতের ভ্রমণ হল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ। 

(আবু দাউদ ২৪৮৬)

৪. ইলম শেখা, শেখানো ও আত্নশুদ্ধির উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। বিশেষত এ ভ্রমণের উসিলাতেই আমরা হাদিসের বিশাল ভাণ্ডার পেয়েছি। এমনকি খতিব বাগদাদি রহ. এ শ্রেণীর ভ্রমণ-কাহিনি নিয়ে الرحلة في طلب الحديث (হাদিস অন্বেষণে ভ্রমণ) নামক বিশাল কিতাবও লিখেছেন।

৫. শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। যেমন, 

এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন'------

বলুন, পৃথিবী পরিভ্রমণ কর এবং দেখ অপরাধীদের পরিণতি কি হয়েছে। 

(সূরা নামল ৬৯)

৬. আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি সম্পর্কে যে বিবরণ দিয়েছেন তা অবলোকন করে ঈমান ও আমলকে মজবুত করাএবং দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। 

💎আল্লাহ তাআলা বলেন------

বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। 

(সূরা আনকাবুত ২০)

💎 এটা কারো অজানা নয় যে, বর্তমানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো প্রকাশ্য অশ্লীলতা, অবাধ শরীর প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা, নেশাখোরদের আড্ডাসহ বিভিন্ন নোংরা ও বিব্রতকর পরিবেশ দ্বারা ভরপুর। 

💎সুতরাং সন্দেহ নেই, এধরণের পর্যটন কেন্দ্রগুলো কাফেরদের সাদৃশ্যতা, তাদের কথিত চরিত্র ও সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করছে। তাছাড়া নিরাপত্তাহীনতা তো আছেই। 

💎সুতরাং এ জাতীয় ভ্রমণ ও পর্যটন মানে নিঃসন্দেহে কাফেরদের অনুসরণ ও টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (২৬/২২৪)-তে বলা হয়েছে

‘যদি ভ্রমণটি হয় এমন যে, এর কারণে গুনাহ ও নাফরমানি সহজ হয় এবং গুনাহর প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় তাহলে যে মুসলিম আল্লাহ ও আখেরাত দিবসকে বিশ্বাস করে তার জন্য জায়েয নেই, 

 আল্লাহর অবাধ্যতা ও তাঁর হুকুমের বিরোধিতা করার কাজে সহযোগিতা করা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কোনো কিছু ছেড়ে দিবে আল্লাহ এর পরিবর্তে তাকে এর চাইতে উত্তম জিনিস দান করেন।’

এধরণের ভ্রমণ সম্পর্কে ইমাম আহমদ রহ. জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। 

তিনি উত্তর দিয়েছিলেন------

এধরণের ভ্রমণ ইসলামে নেই। নবীগণ কিংবা নেককারগণ এ ধরণের ভ্রমণ করেন নি ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.